‘নম্র-ভদ্র হয়ে যাও স্মিথ-ওয়ার্নার’

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ওপেনার ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে নম্র-ভদ্র হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। বল টেম্পারিংয়ের অপরাধে এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দুজনেই ফিরেছেন জাতীয় দলে। খেলবেন আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
দলের সিনিয়র এবং পারফর্মেন্সে দুজনেই অন্যদের থেকে সেরা। তবে এবার বিশ্বকাপে সাবেক অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক দলে খেলবেন স্রেফ সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে। পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে দুজনকেই এখন নম্র-ভদ্র আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।
অ্যারন ফিঞ্চের অধীনে বিশ্বকাপে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। তার নেতৃত্বেই খেলতে হবে স্মিথ-ওয়ার্নারকে। দলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত মাসে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে সতীর্থদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন দুজন।
প্রায় ১৪ মাস পর শুক্রবার ব্রিজবেনে জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেন তারা। বল টেম্পারিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক হতে পারবেন না স্মিথ-ওয়ার্নার। এই অপরাধের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ওয়ার্নারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
অজি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের মতে, অভিজ্ঞতার কারণে অনায়াসেই স্মিথ ও ওয়ার্নার নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তি হবেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাদের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। অ্যালান বোর্ডার স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের অজি কোচ বলেন, 'সত্যি বলছি, এই দুজনকে নিয়ে দলে কোনো উত্তেজনা নেই, কোনো কানঘুষা নেই। এই দুজন ফেরায় আমরা অত্যন্ত উৎফুল্ল কেবলমাত্র ক্রিকেট খেলার বিষয়ে আমরা অনেক বেশি উৎফুল্ল।'
পদের এই অবনতি মেনে নিয়েই দুজনকে খেলতে হবে উল্লেখ করে ল্যাঙ্গার বলেন, 'নিশ্চিতভাবেই এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যখন আপনি অধিনায়কের পদ হারিয়ে কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলে থাকবেন তখন নিশ্চিতভাবেই আপনাকে অনেক নম্র হতে হবে; ভদ্র হতে হবে। আমাদের দলে এখন অন্যতম শক্তিশালী মূল্যবোধ হচ্ছে নম্রতা। সুতরাং এটার বিকাশে আসন্ন বিশ্বকাপ হবে তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ।'
স্মিথ-ওয়ার্নার ফেরায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে সর্তক ল্যাঙ্গার। ভারতে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে উসমান খাজার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি। পেসার মিচেল স্টার্কের ইনজুরি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ল্যাঙ্গার। তবে ইনজুরি থেকে বেশ ভালোভাবেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন স্টার্ক। কাঁধের ইনজুরিতে ভুগছেন জেই রিচার্ডসনও। তিনিও সুস্থতার পথেই আছেন। তবে যাই হোক আসন্ন বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখাই প্রধান লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার।
Add Comment