‘আমাদের নাটকের নিজস্ব একটা ভাষা আছে’

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমীন জোহা শশী। আসছে ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরইমধ্যে ঈদের জন্য কয়েকটি খন্ড নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। এছাড়া ঈদে সালাউদ্দিন লাভলুর ‘হানিমুন হবে কক্সবাজারে’ শিরোনামের একটি সাত পর্বের ধারাবাহিকেও এই অভিনেত্রীকে দেখা যাবে। ঈদের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে শশী বলেন, রমজান মাসে সব শিল্পীর ব্যস্ততা ঈদ কেন্দ্রিক। কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছি। আরো কিছু নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে আছে। ঈদে কয়টি নাটকে দেখা যাবে এটি এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ‘হানিমুন হবে কক্সবাজারে’ নাটকটি প্রসঙ্গে শশী বলেন, লাভলু ভাইয়ের নাটকে অভিনয় করতে খুব ভালো লাগে। নাটকে ম্যাসেজও থাকে। ঈদের এই নাটকের গল্পটিও চমৎকার। সত্যি বলতে এখন যে ধরনের গল্পে নাটক নির্মাণ হচ্ছে এটি তার থেকে কিছুটা ভিন্ন। এবার ঈদে কি দর্শক নতুন কিছু পাবে বলে মনে করেন? শশীর ভাষ্য, আমাদের নাটকের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। ভারতীয় সিরিয়াল আর আমাদের নাটক এক নয়। আমাদের নাটক কমেডি হলেও দর্শক আনন্দ পায়। কিছু নাটকে দর্শকদের জোর করে হাসানোর চেষ্টা থাকে এটি সত্যি। কিন্তু গেল দুই বছরে আমাদের ঈদের নাটকে বেশ পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন ধরনের গল্পে নাটক নির্মাণ হচ্ছে। এবারও আমরা হয়তো নতুন কিছু পাবো। ঈদের নাটকের বাইরে এই অভিনেত্রী একাধিক ধারাবাহিক নাটকেও ব্যস্ত সময় পার করছেন। উল্ল্যেখযোগ্য ধারাবাহিকগুলো হলো এস এম শাহীনের ‘সোনাভান’, জুয়েল শরীফের ‘ভূবন ডাঙ্গা’, সালাহউদ্দিনের ‘মায়া মসনদ’, এবং শাহীন সরকারের ‘জ্ঞানী গঞ্জের পন্ডিতেরা’ ও ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’। প্রতিটি নাটকে বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। এই সময়ে ধারাবাহিক নাকি খন্ড নাটকের দিকে দর্শকের আগ্রহ বেশি? এই প্রশ্নের উত্তরে শশী বলেন, আমাদের দর্শক এখন টেলিভিশনের চেয়ে ইউটিউবে বেশি নাটক দেখে। সেই দিক থেকে বলা যায় ইউটিউবে দর্শক খন্ড নাটক বেশি দেখছে। তাই বলে ধারাবাহিক নাটক দেখছে না বলা যাবে না। এখন আমাদের অনেক টিভি চ্যানেল। সব চ্যানেলে প্রতিদিন একাধিক ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। ফলে দর্শক ভাগ হয়ে যায়। এই সময়ে টিভি নাটকের সমস্যাগুলো কি? শশী বলেন, অনেক সমস্যা বিদ্যমান। কোনোটিকে ছোট করে দেখার নেই। আমাদের এই সময়ে প্রধান একটি সমস্যা হলো বাজেট। সব কিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে নাটকের বাজেট বাড়েনি। তারা চেষ্টা করে বাজেট শুধু কমাতে। এটি সত্যি, দুই একজন নির্মাতা ভালো বাজেট পাচ্ছে। তবে শুধু এদের দিয়ে তো পুরো ইন্ড্রাস্ট্রি চলে না। সব কিছু সঠিকভাবে চলমান রাখার জন্য সমন্বয় রাখতে হয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনেত্রী এখন বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। কেউ কেউ চলচ্চিত্রে নিয়মিতও হচ্ছেন। কিন্তু শশী পিছিয়ে পড়েছেন কেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি পিছিয়ে নেই। আমার কাছে চলচ্চিত্রের প্রস্তাব আসে। কিন্তু প্রস্তাবগুলো আমার মনে ধরে না। কারণ আমি প্রথমত ছোট পর্দায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আর দ্বিতীয়ত প্রস্তাব পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর গল্প আকর্ষণীয় নয়। প্রসঙ্গত, ঢাকাই ছবির বর্ষিয়ান অভিনেত্রী সুচন্দার পরিচালনায় ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শশী দারুণ আলোচনায় আসেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চলচ্চিত্রের অনেক নির্মাতাই তাকে নিয়ে সম্ভাবনা দেখেছিলেন। কিন্তু অভিনীত প্রথম এ চলচ্চিত্রের পর আর কোনো চলচ্চিত্রে পাওয়া যায়নি শশীকে।
Add Comment