সুপারশপে অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাধা

খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরীতে একটি সুপরশপে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া এই এলাকায় একটি সুপারশপে অভিযান চালানোর সময় অন্য আরেকটি সুপারশপে অভিযানের কথা ফাঁস করে দিলে ওই দোকানটি থেকে পঁচা মাছসহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ফেলে দেয়ার সময় র্যাবের হাতে ধরা পড়ে।
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গত শনিবার পঁচা মাছসহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার দায়ে সুপারশপ স্বপ্ন ও আগোরাকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে স্বপ্নকে ১২ লাখ এবং আগোরাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাবের সিনিয়র আইন কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম যুগান্তরকে জানান, গত শনিবার দুপুরে সুপারশপ আগোরার সেগুনবাগিচার আউটলেটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন।
এ সময় আগোরায় পণ্য সরবরাহকারী রোকেয়া নামে এক নারী পাশের আরেকটি সুপারশপ স্বপ্নের ম্যানেজার মাহবুবকে অভিযানের কথা জানিয়ে দেন।
পরে স্বপ্নে অভিযান চালিয়ে তাদের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে, পঁচা মাছ সুপারশপের বাইরে ফেলা হচ্ছে।
স্বপ্নের হেড অব মার্কেটিং আফতাবুল খবর পেয়ে দোকানে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, 'ম্যাজিস্ট্রেট আসছে, মোবাইল কোর্ট আসছে পঁচা মাছ সরাও, বাইরে ফেলে দাও'- বলে স্বপ্নের ম্যানেজার কাজী মাহবুবুল হক পঁচা মাছ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছেন।
এ ছাড়া বেশ কয়েকটি খাদ্য ও প্রসাধনীর মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পাওয়া যায়। মোবাইল কোর্টে বাধা দেয়ার চেষ্টা করায় স্বপ্নের হেড অব মার্কেটিং আফতাবুলের বিরুদ্ধে অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানায় স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে সার্বিক ঘটনার জন্য অনুতপ্ত বলে জানায় স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করে র্যাব-৩ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একজন খাদ্য পরিদর্শক।
এ সময় অভিযানের তথ্যফাঁসকারী রোকেয়াও আলাদতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। পরে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
Add Comment