শাহবাগ থানার খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়নি

Post Iamge

Advertise

রাজধানীর শাহবাগ থানার বিশ্রামকক্ষ থেকে খোয়া যাওয়া পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি এখনও উদ্ধার হয়নি। রোববার দুপুরে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিমাংশু সাহার জিম্মায় থাকা অস্ত্র ও গুলি খোয়া যায়। এ ঘটনার তদন্ত ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।

তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে পারেনি। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অস্ত্র চুরির ঘটনায় জড়িতদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সন্দেহ কোনো দুর্ধর্ষ জঙ্গি থানা থেকে অস্ত্র ও গুলি চুরি করেছে। তবে থানার ভেতর থেকে কেউ তাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান, চুরি হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা দেখে একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওই যুবককে ধরতে পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছে।

 

বুধবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ইফতারি অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র চুরির ঘটনায় জড়িতদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, থানা হেফাজত থেকে একজন এএসআইয়ের পিস্তল ও গুলি চুরি হয়েছে। গাফিলতির দায়ে ওই এএসআইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গভীরভাবে তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পঞ্চগড়ে কারাগারে একজন আইনজীবী নির্যাতনে মারা যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ওই বিষয়েও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো অবহেলা থাকলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, দিনের বেলায় অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক। এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখার সদস্যরাও তদন্ত করছেন। আর গাফিলতির দায়ে শাহবাগ থানার এএসআই হিমাংশু সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অস্ত্র খোয়া যাওয়ার বিষয়ে থানার ভেতরের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, থানার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একজন দাঁড়িওয়ালা অপরিচিত যুবক থানায় প্রবেশ করেই বিশ্রাম কক্ষের দিকে যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই আবার বেরিয়ে আসে। ওই যুবকের পরনে ছিল ধূসর রঙের প্যান্ট ও সাদা শার্ট। পিঠে একটি ব্যাগও ঝোলানো ছিল। ওই যুবককে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওই যুবক কোনো জঙ্গি বা উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর আগে গত বছরের ১১ জানুয়ারি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিম জোনের সার্জেন্ট মামুনুর রশীদ ও সোহেল রানার দুটি পিস্তল এবং ৩২ রাউন্ড গুলি চুরি হয়। মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগ ঝিলপাড়ের ২৯৯/৯/১/এ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার জানালার গ্রিল কেটে ট্রাঙ্ক থেকে ওই অস্ত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ১৯ মার্চ পীরেরবাগে ওই অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে গুলিতে মারা যান ডিবির পরিদর্শক জালাল উদ্দিন। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হাসান ২৩ মার্চ মিরপুরে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

Add Comment

অন্যান্য সংবাদ

নিউজলেটার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার ইনবক্সে সেরা খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন । আমরা আপনাকে স্প্যাম করব না এবং আমরা আপনার গোপনীয়তাকে সম্মান করি।