র্যাঙ্কিং, সাকিব ও রশিদ খান

রশিদ খান এখন ওয়ানডেতে নাম্বার ওয়ান অল রাউন্ডার। সাকিব আল হাসান নেমে এসেছেন দুইয়ে। রশিদ খানের পয়েন্ট ৩৫৬ আর সাকিব আল হাসানের ৩৪১। বাংলাদেশিরা অনেকেই ব্যাপারটা মানতে পারতেছেন না। আর যারা সর্বদাই ‘বাংলাদেশকে সাইজ’ করার জন্য লুঙ্গি কাছা মাইরা বসে থাকেন তারা বলছেন, ‘রশিদ খানের সাথে সাকিব আল হাসান পারে না!’।
আপনাদের দুই দলের জন্যই একটা তথ্য যোগ করে দেই ঐ র্যাঙ্কিং থেকেই। টেস্টে সাকিব আল হাসান আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে, তার পয়েন্ট ৩৯৯ (প্রথম স্থানে জেসন হোল্ডার, পয়েন্ট ৪৩৯)
টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ২য় , পয়েন্ট ৩৩৮ (প্রথম স্থানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, পয়েন্ট ৩৯০)
এইবার আরেকটু মজার তথ্য দেই-
> ওয়ানডেতে ১ এ থাকা রশিদ খান কিন্তু টেস্ট বা টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার তালিকায় সেরা দশেই নাই!
> টি-টোয়েন্টিতে ১ নম্বরে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ওয়ানডে বা টেস্টের সেরা দশেই নাই!
> টেস্টে ১ নম্বরে থাকা জেসন হোল্ডার ওয়ানডেতে ৭ নম্বরে আছেন (পয়েন্ট ২৭৪), টি-টোয়েন্টিতে তিনি সেরা দশে নাই!
আইসিসি র্যাংকিং করে একটি নির্দির্ষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচের পারফর্ম্যান্সের উপর ভিত্তি করে। এতে করে মাঝে মধ্যে এহেন এক্সিডেন্ট হইতেই পারে। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডাররা শুধুমাত্র একটা ফরম্যাটেই এক নাম্বারে আছেন আর কোনো ফরম্যাটেই কোথাও নেই। (কিন্তু সাকিব আল হাসান প্রতিটি ফরম্যাটেই আছেন সেরাদের কাতারে)
আরেকটু পরিষ্কার করি যদি এখনও কনফিউশন থাকে আপনাদের-
> টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে সেরা দশজন অলরাউন্ডারদের মাঝে ৩৩০ প্লাস স্কোর আছে মাত্র ২ জনের।
> টেস্টের সেরা দশে থাকা প্লেয়ারদের মাঝে ৩৩০ প্লাস স্কোর আছে ৪ জনের!
সাকিব আল হাসান একমাত্র খেলোয়াড় যার তিনটি সেক্টরেই ৩৩০ প্লাস স্কোর আছে।
যদিও সাকিবের শ্রেষ্ঠত্ব অংক করে দেখানোর আবশ্যকতা নাই; কিন্তু অবুঝ পাবলিকদের জন্য কষ্টটা করা লাগলো।
২.
এখন আসেন একটা জোকস শোনাই। রশিদ খান ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিং এ তিন নাম্বারে অবস্থান করছে। ঐ উচ্চতায় আমাদের কোনো বোলার এখনও যেতে পারেন নি। আরে না ভাই এইটা জোক না। জোক নিচে...
রশিদ খানের মোট ওয়ানডে ম্যাচ ৫৭
---------------------------
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ২১ টি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছেন ১৮ টি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছেন ৫টি
স্কটল্যান্ড+হংকং+আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৫টি
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫টি
ভারতের বিপক্ষে ১টি
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১টি
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১টি
র্যাঙ্কিং নিয়াই যখন হাউকাউ তখন জানিয়ে দেয়া দরকার যে আইসিসির ওয়ানডে টিমের র্যাঙ্কিং এ প্রথম ৫টি দলের মাঝে ৪টির সাথে এখনও একটি ম্যাচও সে খেলেনি। ৫৭টি ম্যাচের ৪৪টি অর্থাৎ ৭৭% শতাংশ ম্যাচ খেলেছে র্যাঙ্কিংয়ে ১১, ১২ আর তার নিচের নম্বারে থাকা দলের সাথে।
রশিদ খান ভালো বোলার, তার বোলিং দেখতে ভালো লাগে। তবে কিছু সমর্থক যেভাবে রশিদ খানকে শেন ওয়ার্ন ঠাওরান, কথায় কথায় রশিদ খান ‘কত্ত বড় বোলার’ তা বুঝাইতে চান তাদের জন্য স্ট্যাটটা ধরিয়ে দেয়া হলো। আগে ১০০ টা ম্যাচ বড় দলের সাথে খেলুক, তারপরে র্যাঙ্কিংয়ের এর আলাপ।
Add Comment