যানজটে নাকাল নগরবাসী

যানজট রাজধানীবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। তবে একদিকে রোজা রেখে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস, তার ওপর যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। সোমবার দিনের শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা দেয়। বেলা গড়াতেই তা অনেক এলাকায় অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছে যায়।
রাজধানীর প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সকাল থেকে তীব্র যানজটে কর্মমুখী মানুষের অবস্থা নাজেহাল। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে রাস্তায় যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। এক জায়গাতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায় যাত্রীদের।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিস-ফেরত রোজাদাররা। বাধ্য হয়ে অনেকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে গেছেন।
মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী, উত্তরা, শাহবাগ, ফার্মগেট, মগবাজার, আজিমপুর, কমলাপুর, খিলগাঁও, শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী, আমিনবাজার, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকার রাস্তাগুলোতে সকাল থেকেই তীব্র যানজট দেখা গেছে।
ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বলা হয়, যানজটের সবচেয়ে বড় কারণ বিভিন্ন সড়কের উন্নয়নমূলক কাজ। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বেশ কয়েকটি রুটে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রাস্তায় এমনিতে বেহাল। তার ওপর রোজাদার যাত্রী ও অফিস থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ যেন একটু বেশিই।
কারওয়ান বাজারে মোটরসাইকেল আরোহী রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরো হাতিরঝিল এলাকায় যানজট। বিশেষ করে গুলশানে প্রবেশ করতে দীর্ঘ যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে। এদিকে হাতিরঝিলের বাসস্টপেজে যাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাস আসার কোনো নাম নেই।
এছাড়াও বিভিন্ন মূল সড়কে যানজট থাকায় পার্শ্ববর্তী অলিগলিতে প্রাইভেট কার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঢুকে পড়ায় সেখানেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
ডিএমপির উত্তর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার প্রবীর কুমার রায় বলেন, আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। রোজাদার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যও আমাদের রয়েছেন। কিন্তু তারা রাস্তায় ভিজে যাত্রী সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
Add Comment