মোদি হেরে যাবেন, নিশ্চিত সোনিয়া!

Post Iamge

Advertise

ভারতীয় পার্লামেন্ট তথা লোকসভার ফল প্রকাশের পরেই মায়াবতী, মমতা ব্যানার্জিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস নেত্রীর ধারণা, প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ যতই হম্বিতম্বি করুন, ফের ক্ষমতায় ফিরছেন না নরেন্দ্র মোদি। তার অবস্থা ২০০৪ সালের অটলবিহারী বাজপেয়ির মতোই হবে। সেবার ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’য়ের স্লোগান থাকলেও ফেরা হয়নি বাজপেয়ির। এবার একই অবস্থা হবে মোদিরও।

যদিও ষষ্ঠ দফার ভোটের শেষে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী একথাও বুঝে গিয়েছেন যে কংগ্রেসের একার পক্ষেও সরকার গড়ার মতো আসন জিতে আসা প্রায় অসম্ভব। সেক্ষেত্রে দরকার সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সমর্থন। তাই এবার সামনে এলেন সোনিয়া। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের চিঠি লিখলেন তিনি। ফল প্রকাশের পরে সময় নষ্ট না করে বিরোধীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ভবিষ্যত কর্মসূচি ঠিক করে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই চিঠি বলে জানা গিয়েছে।

 

ভোটের ফল বেরনোর পর মোদিকে রুখতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে বিরোধী বৃহত্তর জোটকে সরকার গড়ার আবেদন করার পরিকল্পনা নিয়েও সেখানে বিস্তারিত আলোচনা সেরে নিতে চান সোনিয়া। কে হবেন বিরোধী জোটের নেতা বা নেত্রী তা নিয়েও সেখানে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়লেও সম্প্রতি পুরুলিয়ায় গিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করেননি রাহুল গান্ধী। একইভাবে সর্বভারতীয় এক নিউজ চ্যানেলে মায়াবতীকে সম্মান জানিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের এই দুটি ইঙ্গিত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে।

ভোটের ফল প্রকাশের আগেই ২১টি বিরোধী দলের একত্রে বৈঠকে বসার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, মায়াবতী, মমতা, অখিলেশের মতো নেতানেত্রীর নাকি তাতে মত নেই। তাদের বক্তব্য, আগে ফল প্রকাশ হোক। তারপরই বৈঠকে বসা উচিত। তা নাহলে ভোটারদের মনেই বিরোধীদের সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা হবে। তারা ভাবতে পারেন, রেজাল্টের আগেই হেরে বসে আছে বিরোধীরা। এদিকে, মোদি বিরোধী শক্তিকে এবার ভোটে গোড়া থেকেই একজোট করতে উদ্যোগী হয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। টিডিপি’র এই সুপ্রিমো একসময় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের আহ্বায়ক ছিলেন। ভোটের আগেই থেকেই তিনি বিরোধী নেতানেত্রীদের নিয়ে দিল্লিতে সংবিধান বাঁচাও স্লোগান সামনে রেখে বৈঠক করেন।

চন্দ্রবাবু নাইডুর পাশাপাশি আসেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। রাজনৈতিক ময়দানে ঘোর প্রতিপক্ষ হলেও নিজের পশ্চিমবঙ্গে মমতা, রাহুল, চন্দ্রবাবু, কেজরিওয়ালকে এক সঙ্গে বৈঠকে বসাতে সমর্থ হন পাওয়ার। তবে এবার খোদ সোনিয়া গান্ধী সামনে আসায় বিষয়টির গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, কেবল বাজপেয়িকে হারানোই নয়। ২০০৪ এবং ২০০৯, দুবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি ঠিকই, তবে নতুন ইউপিএ সরকার গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সোনিয়ারই। দুবারই মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হলেও কার্যত সোনিয়াই ছিলেন সরকারের অন্তরাত্মা।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

Add Comment

অন্যান্য সংবাদ

নিউজলেটার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার ইনবক্সে সেরা খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন । আমরা আপনাকে স্প্যাম করব না এবং আমরা আপনার গোপনীয়তাকে সম্মান করি।