মায়ের জন্য ভালোবাসা

বিশ্ব মা দিবস আজ। এ দিনটিতে দেশীয় শোবিজের কজন তারকা মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানিয়ে তাদের না বলা কথা প্রকাশ করেছেন এ আয়োজনে
ওমর সানী
বেশ কয়েক বছর আগে আমার মা আল্লাহ্র কাছে চলে গেছেন। সবসময়ই দোয়া করি আল্লাহ্ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন। আমার জীবনের চলার প্রতিটি পদক্ষেপে মা’কে খুব মিস করি। মা যখন বেঁচে ছিলেন তখন অনেক দেরিতে শুটিং থেকে বাসায় ফেরা হতো আমার। তখন মনে মনে ভাবতাম সবাই রাতের খাবার খেয়ে ফেললেও আমার মা নিশ্চয়ই খাননি। ঠিকই বাসায় ফিরে দেখতাম মা আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। আসলে মায়ের সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।মা যে আমার জীবনে কী ছিলেন তা বলে বুঝাতে পারবো না।
মৌসুমী
আমি আমার মা বাবার প্রথম সন্তান। সে হিসেবে জন্মের পর থেকেই অনেক আদর, স্নেহ মায়া মমতায় বেড়ে উঠেছি। মায়ের সঙ্গে সেই ছোটবেলা থেকেই আমার সখ্য। মায়ের আদর স্নেহ ভালোবাসায় প্রতিটি সন্তানই বেড়ে ওঠে। আমার কাছে মনে হয় আমার মা আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসতেন। তাই কখনোই মা আমাকে চোখের আড়াল হতে দিতেন না। এখন মায়ের বয়স হয়েছে। টুকটাক কিছু অসুস্থতা লেগেই থাকে। তারপরও মা যতোটুকু সময় পান আমার কাজগুলো দেখার চেষ্টা করেন। আমাকে উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করেন। এখনো আমি বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর মাম্মি বলে যখন আম্মু আমাকে ডাকেন তখন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়।
পূর্ণিমা
মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়ায় আমি আজকের পূর্ণিমা। তাই মায়ের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা। মহান আল্লাহ্র কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমার মা’কে সবসময় ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। সেই মায়েরই মেয়ে আমি নিজেও একজন মা। তাই মায়ের কষ্টটা এখন খু্ব ভালোভাবে বুঝতে পারি। মায়ের কোনো তুলনা হয় না। না জেনে না বুঝে মা’কে অনেক কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু আর কখনো মা’কে কষ্ট দিতে চাই না।
পপি
আজ আমার জীবনের অন্যরকম দিন। কারণ চলচ্চিত্রে আমার সাফল্যের জন্য আমার মা আজ ‘গরবিনী মা সম্মাননা’য় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। তাই আজকের দিনটা আমার জীবনের স্মরণীয় একটি দিন হতে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তীকে। আর আজকের দিনে বার বার শুধু বলতে চাই , আম্মু আমি তোমাকে অনেক অনেকে ভালোবাসি। কিন্তু তোমাকে তা বলে হয়ে উঠে না। তোমাকে নানান সময় অনেক কষ্ট দিয়েছি। ক্ষমা করে দিও।
জাকিয়া বারী মম
আমার জীবনে আমি যা কিছুই ভালো করেছি তার সবই আমার আম্মা-আব্বার অবদান। আর যা খারাপ করেছি সবই আমার। আম্মু আমার জীবনের শেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি আমার আদর্শ। আমার আম্মু একজন অধ্যাপক। একজন মানুষ এতো পরিশ্রমী হয় তা আম্মুকে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না। আমার অনেক কিছুই নেই হয়তো। কিন্তু আমার শিক্ষিত মা এবং শিক্ষিত একটি পরিবার আছে।
মেহজাবিন চৌধুরী
আমার জীবনে চলার পথের প্রতিটি পদক্ষেপে আম্মু আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। যে কারণেই কিন্তু আমি আজকের মেহজাবিন হতে পেরেছি। আম্মু প্রায়ই তার শরীরের নানান সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তার মাথাব্যথা করে, কোমর ব্যথা করে, ডায়াবেটিসের সমস্যা। এসব কথা যখন শুনি তখন মনে হয় নিজের শরীরটা কেটে যদি আম্মুকে দিয়ে দিতে পারতাম, আর তাতে যদি আম্মু পুরোপুরি সুস্থ থাকতেন আমি শান্তি পেতাম।
লিজা
আমার সঙ্গে আমার আম্মুর সম্পর্কটা একটু অন্যরকম মধুর। আমার বাবার সঙ্গেও। তাদের দু’জনকে সবসময়ই আমার এটা-ওটা গিফট করতে ভীষণ ভালো লাগে। আম্মুর সঙ্গে ঝগড়া করি , আবার কিছুক্ষণ পর সরিও বলি। মা মেয়ের সম্পর্ক যেমন মধুরতর হয় তেমনই সম্পর্ক আমাদের দু’জনের। আম্মু সবসময়ই আমার গান শুনেন। আমার গানের মধ্যেই অন্যরকম সুখ খুঁজে পান।
জিনিয়া জাফরিন লুইপা
আম্মু বুঝতে পেরেছিলেন আমাকে দিয়ে গানটাই ভালোভাবে করিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তাই তার শতভাগ চেষ্টায় আমি নিজেকে আজ একজন সংগীতশিল্পীতে পরিণত করতে পেরেছি। মহান আল্লাহ্র কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে, তিনি আমাকে এমন একজন মায়ের গর্ভে জন্ম দিয়েছেন।
Add Comment