বাঁধ ভাঙলে জরুরি ভিত্তিতে জানান কন্ট্রোল রুমে

Post Iamge

Advertise

গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ফনি। গতিপথ পরিবর্তন করে শনিবার সন্ধ্যার পর ভারতের আসামের দিকে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

এর ফলে বিপদ সংকেত কমিয়ে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে ইতোমধ্যে বাঁধ ভেঙে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাই সারাদেশে কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙলে তা মেরামতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে জানাতে বলা হয়েছে।

শনিবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সারাদেশে কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙলে বা ভাঙার উপক্রম হলে জরুরি ভিত্তিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে অবহিত করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।

কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর হলো ০২৯৫৪০৭০১।

এর আগে দুপুর ১টার পর অধিদফতরের উপপরিচালক আয়েশা খাতুন জানান, ‘অতিপ্রবল ফনি এখন সাধারণ মানের ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি এখন গভীর নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সেজন্য বিপদ ও হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে দেশের মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশংকা আছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘অমাবস্যার কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যতা বিরাজ করছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলাগুলোয় (চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো) ২ থেকে ৪ ফুট উঁচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’

আয়েশা খাতুন আরও বলেন, ‘আমাদের পূর্বাভাস হচ্ছে, এখনও গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে ঝড়ো হাওয়াসহ। যার গতিবেগ থাকতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।’

আবহাওয়া অধিদফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সাগর এখনও উত্তাল। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেয়া ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রবন্দরে যেসব মাছধরা ট্রলার আছে তাদের এখনও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ রয়েছে আবহাওয়া অফিসের।

সম্পর্কিত পোস্ট

Add Comment

অন্যান্য সংবাদ

নিউজলেটার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার ইনবক্সে সেরা খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন । আমরা আপনাকে স্প্যাম করব না এবং আমরা আপনার গোপনীয়তাকে সম্মান করি।