ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন সৌদি সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সাম্প্রতিক সংঘাতে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী ইসরাইলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বার্তা জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য দিয়েছে।
সাম্প্রতিক ইসরাইলি বিমান হামলার জবাবে হামাসের রকেট-বৃষ্টির জন্য ইরানকেও দায়ী করছেন তারা।
জেদ্দায় অবস্থিত মিডল ইস্ট সেন্টার ফর স্ট্যাটেজিক অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজের সাবেক পরিচালক আবদ আল হামিদ আল হাকিম টুইটারে লিখেছেন, আমাদের হৃদয় তোমাদের সঙ্গে আছে। ইসরাইল ও দেশটির লোকজনকে আল্লাহ রক্ষা করবেন।
তিনি বলেন, বিশ্বাসঘাতক ইরান ও গাজা উপত্যকায় তাদের এজেন্টদের ইসরাইলি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর সুযোগ আমরা দিতে পারি না। এখন এটা জোর গলায় বলার সময় এসেছে যে কেবল ইসরাইল না, পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও এ অঞ্চলের সব দেশের ওপরই হামাসের সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।
‘আরবদের আমি বলতে চাচ্ছি, আপনারা কি এই হত্যাকারী এবং ইরানের এজেন্টদের জেরুজালেম শাসন করতে দিতে চাচ্ছেন?’
ইসরাইলের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার ইতিহাস আল হাকিমের আগেও রয়েছে। বছরখানেক আগে এক টুইটার পোস্টে ইসরাইল ও সৌদি আরবের রাজধানীতে দুই দেশের দূতাবাস স্থাপনের সমর্থন করেন তিনি। ঘটনাক্রমে তিনি বলেন, সৌদি দূতাবাস জেরুজালেমে স্থাপন করা উচিত।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণেই গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা চালাতে নির্দেশ দিয়েছে ইরান বলে মন্তব্য করেন সৌদি আরবের সাংবাদিক মোহাম্মদ আল শেখ।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াতে পারসিয়ানরা এই রকেট হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এর শিকার হচ্ছেন গাজার লোকজন।
লেখক ড. তুর্কি আল হামাদ লিখেছেন, গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা, ইসরাইল থেকে গাজায় বোমা হামলা, এরপর অন্যদের মধ্যস্থতায় লড়াই বন্ধ হওয়া এবং ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে তার খেসারত দিতে হচ্ছে।
হামাসের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা কি কোনো প্রতিরোধ হতে পারে, হে আমার বন্ধু। ইরান এবং তুরস্কই হচ্ছে সমস্যার মূল গোড়া আর তার মূল্য দিতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সাধারণ মানুষকে।
Add Comment