ফণীর কারণে ডিম দিতে সৈকতে আসেনি সাবধানী কচ্ছপরা

যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন সতর্কবার্তা প্রচার করা হয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। ফলে কখনো মানুষ সরে যায় নিরাপদ স্থানে। কখনোবা নিজের অবস্থানস্থলকে আরো নিরাপদ করে তোলে। তবে এসবই তো মানুষের জন্য। অন্য প্রাণীদের কী হয়।
প্রকৃতিবিদরা বলেন, মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা নিজেদের থেকেই এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের লক্ষণ টের পায় আগে থেকেই। আর সে হিসেবেই তারা প্রস্তুতি নেয়। বরং প্রাচীন মানুষরা এখনো পশুপাখির গতিবিধি দেখেই আসন্ন দুর্যোগের ভয়াবহতা অনুমান করে নেন।
বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণী। ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এটি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। তবে শুরুর দিকে আঘাতে উড়িষ্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বারবার সতর্কবার্তা প্রচার করায় প্রাণহানীর হয়তো কম ঘটেছে, কিন্তু ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে বেশ।
এমন অবস্থায় সামুদ্রিক কচ্ছপদের নিয়ে অবাক করা এক তথ্য এসেছে সামনে। ফণীর আগে গঞ্জাম জেলার ঋষিকুল্যা সৈকতে সামুদ্রিক কচ্ছপদের (অলিভ রিডলে) গতিবিধি নিয়ে শুনতে অদ্ভুত দাবিই করছেন আইএফএস অফিসার প্রবীণ কেসওয়ান।
প্রবীণ বলেছেন, ঋষিকুল্যা সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর এই সময় ৪ লক্ষেরও বেশি সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে আসে৷ কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এ সামুদ্রিক কচ্ছপরা এবার গঞ্চাম জেলার এই সমুদ্রসৈকতটিতে ডিম পাড়ার জন্য আসেনি৷ এরপরই প্রবীণ লিখেছেন, এ সব প্রাণীর ওয়েদার ফোরকাস্টের প্রয়োজন হয় না৷
অনেকে দাবি করেন, শুধু কচ্ছপই নয়, গরু থেকে ইঁদুর অনেক প্রাণীই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগে থেকে আঁচ করতে পারে। অনেক বয়স্ক লোকই এদের ওপর নির্ভর করেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঁচ করতে। তারা বলেন, ভূমিকম্প, বন্যা, ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো আগে থেকেই টের পায় এই প্রাণীরা এবং সেই দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য অস্থিরতা প্রকাশ পায় তাদের আচরণে।
Add Comment