জার্সির সিন্ডিকেট ভাঙতে একাট্টা ব্যবসায়ীরা

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর বাংলাদেশের গৌরবময় লাল-সবুজের জার্সি চার সিন্ডিকেটের দখল থেকে মুক্ত করার দাবিতে একাট্টা দেশের ক্রীড়া সামগ্রী ব্যবসায়ীরা। তারা অনতিবিলম্বে সিন্ডিকেট ভেঙে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩০০ টাকার জার্সি ১১৫০ টাকায় বিক্রির সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সিন্ডিকেট হিসেবে- ‘অঞ্জনস’, ‘জেন্টল পার্ক’ ‘স্পোর্টস এন্ড স্পোর্টস’ ও ‘রবিন স্পোর্টস’ এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে জার্সি তৈরি ও বিক্রয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় এই সিন্ডিকেটের দ্বারা দেশের মানুষ চরমভাবে প্রতারিত হবে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীদের। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্পোর্টস গুডস মার্চেন্টস, ম্যানুফেকচারার্স এন্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে তদন্তপূর্বক বিসিবি’র অসাধু কর্মকর্তার হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল এবং জার্সি তৈরি ও বিক্রয়ের সিন্ডিকেট চক্র ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়ে হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আগামী ৩০শে মে শুরু হচ্ছে ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯’। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ‘লাল-সবুজ’ এর গৌরবময় জার্সি পড়ে মাঠে নামবে। সারা দেশের মানুষও দেশের গৌরবময় এই লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে খেলা উপভোগ করবেন। জার্সি গায়ে বিশ্বকে ‘বাংলাদেশ’কে চেনাবেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং অনিয়মের কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে লাল-সবুজের জার্সি। বিসিবির কাছ থেকে কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই টাইগারদের জার্সি তৈরি এবং বিক্রয়ের আদেশ নিয়ে চার সিন্ডিকেট মিলে ৩০০ টাকার জার্সি এখন সাধারণ মানুষের মাঝে ১১৫০ টাকায় বিক্রয় শুরু করেছে। যদিও স্বত্তাধিকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মাহতাব উদ্দিন সেন্টু এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘দেখেন গেল সাত বছর ধরে আমার প্রতিষ্ঠান জাতীয় দলের জার্সি তৈরি করছে। কিন্তু কোনদিনও আমরা খোলা মার্কেটে সেই জার্সি বিক্রি করিনি। যার যেভাবে মন চেয়েছে তারা বাজারে জার্সি বিক্রি করেছে। এমনকি ডিজাইনটাও করেছে বিকৃত। বিসিবির যে লোগো ব্যবহার করেছে তার জন্যও কোন টাকা দেয়নি। কিন্ত আমরা কিন্তু বিসিবিকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে জার্সির রাইটস কিনেছি। এতে বিসিবি লাভবান হয়েছে। যারা এসব অভিযোগ করছে তারাতো বিসিবির লোগোর জন্য একটা টাকাও দিচ্ছেনা। তো ক্ষতি হচ্ছে কার?’
Add Comment