ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?

Post Iamge

Advertise

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রবাহে রাজধানীসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফনি আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সৃষ্টি করতে পারে। যা সারা রাত পর্যন্ত চলবে। এছাড়া শনিবার পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে।

এজন্য পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্ধরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেট দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আসুন জেনে নেই ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?

১. কর্তৃপক্ষ সংকেত দেয়ার পর সরে যেতে বললে দেরি না করে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া উচিত।

২. মাছধরা নৌকা ও ট্রলার এবং মালবাহী লঞ্চের মাঝিমাল্লা ও মালিকদের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরতদের উচিত নিয়মিত ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক বার্তা জেনে নেয়া।

৩. সতর্ক বার্তা মেনে সাগর ও নদীতে অবস্থানরত সব মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকা।

৪. ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন সম্ভাব্য এলাকা স্বাভাবিকের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বসে প্লাবিত হয়। সুতরাং নিচু এলাকায় পাকা দালানে থেকেও বিপদ হতে পারে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া উচিত।

৫. উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের আগে পাঠাতে হবে।

৬. আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় টর্চ লাইট, দেশলাইসহ মোমবাতি, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে নেয়া।

৭. ঘূর্ণিঝড়ের 'চোখ' বা কেন্দ্র উপকূলীয় এলাকা দিয়ে অতিক্রমের সময় কিছুটা সময় সব শান্ত হয়ে আসে। তখন ঝড় শেষ ভেবে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া যাবে না। কারণ, 'চোখ' পেরিয়ে গেলে আবারও আগের শক্তি নিয়ে তাণ্ডব চালায় ঝড়। তাই ঝড় সরে যাওয়ার বা থেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ না করা।

৮. ঘূর্ণিঝড় প্রচুর বৃষ্টি ঝরায়। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হতে পারে ভূমিধস, সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল। এ কারণে পাহাড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Add Comment

অন্যান্য সংবাদ

নিউজলেটার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার ইনবক্সে সেরা খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন । আমরা আপনাকে স্প্যাম করব না এবং আমরা আপনার গোপনীয়তাকে সম্মান করি।