ইংলিশ ফুটবলে অন্য আলোচনায় হবিগঞ্জের হামজা

ইংল্যান্ডের ফুটবলে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তারকা হামজা চৌধুরী। চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে লেস্টার সিটির হয়ে ১৯ ম্যাচ খেলেছেন ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। কয়েকটি ম্যাচে তার পারফরমেন্স ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃটিশ মিডিয়ায় হামজাকে নিয়ে ফিচারও ছাপা হয়। স্যোশাল মিডিয়ায় কয়েকটি বিতর্কিত পোস্টের কারণে সেই হামজার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। ২০১৩ সালের জুনে হামজা টুইট বার্তায় লেখেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গ মানুষেরা কেন এত দ্রুতগতির হয়? কারণ মন্থর গতিসম্পন্নরা হাজতে।’ আরেক পোস্টে নারীদের ফুটবলকে কটাক্ষ করে হামজা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে মেয়েদের ফুটবল দেখাটা অসহ্যকর।’ তার আরেকটি টুইট ছিল, ‘নিজেদের ক্ষতিসাধন ও আত্মহননকারীদের জন্য আমার একটুও দুঃখ হয় না।’ পোস্টগুলো ৫-৬ বছর আগের। তখন হামজার বয়সও ছিল কম। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওসব পোস্টের জন্য ক্ষমা চান হামজা।তবুও তাকে ছাড় দিচ্ছে না এফএ। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানহানিকর ওসব টুইট করে হামজা এফএ’র আচরণবিধির ধারা ই-৩ (১) ও ই-৩ (২) ভঙ্গ করেছেন। অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য ১৩ই মে পর্যন্ত সময় পাবেন হামজা।
তবে লেস্টার সিটির কোচ ব্রেন্ডন রজার্স হামজার পাশে দাঁড়িয়েছেন। রজার্স বলেছেন, ‘ও যখন ওসব কথা লিখেছে তখন ওর বয়স কম ছিল। বাচ্চা বয়সে ভুল হতেই পারে। হামজা বুঝতে পেরেছে তার কথাগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। ও ক্ষমা চেয়েছে। এটা তার জন্য একটা শিক্ষা।’
হবিগঞ্জের চৌধুরী বাড়ির ছেলে হামজার মা বাংলাদেশি ও বাবা ক্যারিবিয়ান। ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের লাফবরোতে জন্মগ্রহণ করেন হামজা। ইংলিশ সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠলেও হামজা অনর্গল বাংলা বলতে পারেন। তার ফুটবলে হাতেখড়ি লেস্টার সিটিতে। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে অভিষেক হয় তার। ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ মিডফিল্ডার।
Add Comment